যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যেই চারশ দিনার মাহরে সম্পন্ন হলো বিয়ে। অনাড়ম্বরভাবে শেষ হলো আচার-অনুষ্ঠান। খালিদের মনে জেগে রইল শুধু নবপরিণিতার সঙ্গে নিভৃত মিলনের সুন্দরতম ইচ্ছে-বিমুগ্ধ বাসররাত। ফুলশয্যা; হৃদয় দেওয়া-নেওয়ার আর্তি। অপার্থিব বিমূর্ত এক অনুভব। সেই ব্যাকুলতা নিয়েই তিনি উম্মু হাকিমকে আহ্বান জানালেন বাসরের।
উম্মু হাকিমের মনে দ্বিধা-অস্থির এই পরিবেশেই কেন আয়োজন সুখ-স্মৃতির? স্থির হই আগে? শত্রুদের পরিাজিত করি চূড়ান্তভাবে? অপেক্ষা করি? ক্ষতি কী? এদিকে খালিদের মনে যুদ্ধ থেকে ফিরে না আসার শঙ্কা। এটাই হয়তো জীবনের শেষ রাত। জীবনের শেষ মুহূর্তটুকু রাঙিয়ে যেতে চান তিনি। তারপর যা হয় হোক, দ্বিধা নেই কোনো..।
বিয়ে-পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম আয়োজন। এই আয়োজেনর ছবি মানুষের কাছে কখনো রঙিন, দীপ্র; আবার কখনো বর্ণহীন, খিন্ন, দুঃখের। মার্ক্স-আস-সাফার পুলের পাশের একটি ছোট্ট তাঁবুতে বাসরশয্যা তৈরি হয়েছে উম্মু হাকিম ও খালিদের। অপেক্ষা সুখদ-স্মৃতিময় সেই মধুরতম রাতের। সেই রাত কি আসবে তাদের জীবনে?
Reviews
There are no reviews yet.